দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফার বলেছেন, “মহামারি করোনাভাইরাস থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ অনেক সাফল্য দেখিয়েছে। যার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অনেকে। বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো করছে। কোভিড মোকাবিলা করে তাদের অর্থনীতি এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ও বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মি.হার্টউইগ শ্যেফার বৈঠক করেন। বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের মাঝে একটি দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে অর্থমন্ত্রী, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আলোচনায় অংশ নেন।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে হার্টউইগ শ্যেফার, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন, বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) যৌবিদা খেরুস আলাউয়া, সেশিলে ফ্রুমান, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সংযুক্তি ও সহযোগিতা-বিষয়ক কর্মকর্তা আলোচনায় অংশ নেন।
এছাড়া ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফার প্রকল্প ডিজাইন, প্রসেসিং, অনুমোদন ও বাস্তবায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও গতিশীলতা আনার সুপারিশ করেন। এ লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও বিশ্বব্যাংকের সমন্বয়ে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে সভায় প্রস্তাব পেশ করেন তিনি।
এদিকে চলমান রিকভারি অ্যান্ড রেজিলেন্সের প্রকিয়াকরণ দ্রুত সম্পন্ন করতে বলেন তিনি। পাশাপাশি ক্লাইমেট চেঞ্জ রিলেটেড পলিসি অ্যাকশন ও রিজিওনাল ইন্টিগ্রেশন অ্যান্ড করপোরেশনের ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন হার্টউইগ শ্যেফার।
